মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান সর্বশেষ সংবাদ

মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান 

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে। ১৯ মার্চ ২০১৯ ভারতীয় হাই কমিশন নির্বাচিত প্রার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য মিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন আমলাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দু’টি প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ১২,৯৫৭ জন শিক্ষার্থীকে মোট ২৩.৬৬ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ চালু করে। পুরনো প্রকল্পের অধীনে, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১,৩৩৬ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন এবং এ উদ্দেশ্যে ১৭.৪২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীকে ৩৫ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ১,০০০ করে মোট ২,০০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০,০০০ টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০,০০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সাল হতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

        এই বছর ২,২০০ জন শিক্ষার্থী নতুন ও পুরনো প্রকল্পের অধীনে বৃত্তি লাভের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাথে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে। 

ঢাকা

১৯ মার্চ ২০১৯

****