Bilateral Mechanisms দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়াসমূহ

ভারতই বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদান এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে এর স্বাধীনতা অর্জনের পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম রাষ্ট্র। গত চার দশকাধিককালে দুই দেশ তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুসংবদ্ধ করার কাজ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। দুই দেশের প্রধান প্রধান দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়াগুলি হচ্ছে:

রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা

  • উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক কাঠামোগত চুক্তি:

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করে একটি উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা; সংযোগ, পানি সম্পদ; প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা; বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ; বৈজ্ঞানিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি; জনগণে-জনগণে বিনিময়; পরিবেশের সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা;উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং নিরাপত্তাবিষয়ক সহযোগিতা বৃদ্ধির মত ক্ষেত্রসমূহে পারস্পরিক উপকারের সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে অভিন্ন লক্ষ্য ও গন্তব্য অনুধাবনে সাহায্য করেছে।

  • যৌথ উপদেষ্টা কমিশন:

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের আলোকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করার জন্য এ যৌথ উপদেষ্টা কমিশনটি গঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের আলোকে ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বছরে একবার বৈঠকে মিলিত হন এবং নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সম্পর্কযুক্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের মত ক্ষেত্রে সহযোগিতার অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

  • স্থল সীমানা চুক্তি (এলবিএ):

২০১১ সালের চুক্তি ও এর প্রটোকল সকল অমীমাংসিত স্থল সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ের সমাধান এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমানার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঘটায়। সমাধানকৃত অমীমাংসিত বিষয়গুলি হচ্ছে: ক. ৩টি সেক্টর যেমন দৈখাটা-৫৬ (পশ্চিমবঙ্গ);মুহুরি নদী-বেলোনিয়া (ত্রিপুরা) ও ডুমাবাড়ি (আসাম)-র অচিহ্ণিত সীমানা; খ. ছিটমহল; এবং গ. ক্ষতিকর দখল।

  • সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি):

এই পরিকল্পনা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অফ ইন্ডিয়া এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন এবং মানব পাচার, পণ্য চোরাচালান, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রভৃতি সমস্যায় সীমান্তের শান্তি ও পবিত্রতা বিঘিœত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহত্তর সমন্বয় করা হয়েছে।

বাণিজ্য ও সংযোগ

  • দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি:

এই চুক্তি নৌ, রেল ও সড়কপথ ব্যবহারের পারস্পরিক উপকারমূলক ব্যবস্থা, অন্য দেশের ভূখ- দিয়ে এক দেশের পণ্য পরিবহন এবং অন্যান্য ব্যবসায় ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করেছে। ভারত, তার পক্ষে, ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে তামাক ও অ্যালকোহলের মত ২৫টি আইটেম ছাড়া সব আইটেমের ওপর থেকে একতরফাভাবে ডিউটি-ফ্রি, কোটা-ফ্রি প্রবেশাধিকার মঞ্জুর করেছে। এর ফলে সকল বাংলাদেশী পণ্যের জন্য ভারতে বিশাল বাজারের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

  • দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রক্ষা চুক্তি (বিআইপিএ):

দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক দেশ অন্য দেশের ভূখ- থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রক্ষার লক্ষ্যে এ চুক্তি হয়েছে।ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরকে ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশ’-এর মর্যাদা দিয়েছে।

  • দ্বৈত কর রহিতকরণ চুক্তি (ডিটিএএ):

অর্থনৈতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতিবেগ সঞ্চারে ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৯১ সালে ডিটিএএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। উভয় দেশ আয়ের ওপর করের সাপেক্ষে দ্বৈত কর রহিতকরণ এবং অর্থ পরিহার রোধ সংশোধন করেও একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করে।এর ফলে চুক্তিটি ২০০৮ সালের ওইসিডি মডেল কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা লাভ করে।

  • সীমান্ত হাট খোলায় সমঝোতা স্মারক:

স্থানীয় পণ্যের ব্যবসায় ছাড়াও সীমান্ত হাটের মাধ্যমে সীমান্তের উভয় পারের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১০সালে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। মেঘালয়ের কালাইচর ও বালাটের সীমান্ত হাট দু’টি চালু হয়েছে।

  • বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ:

উভয়পক্ষের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উত্থাপিত প্যারা-ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা মোকাবিলায় এ গ্রুপটি গঠিত হয়েছে। 

  • অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য প্রটোকল:

অপর দেশের নির্দিষ্ট রুট দিয়ে এক দেশে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল অনুমোদন করে ১৯৭২ সালে প্রটোকলটি স্বাক্ষরিত হয়।অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াদির সার্বিক প্রটোকল পর্যালোচনার জন্য নৌ পরিবহন সচিব পর্যায়ে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা

  • ঋণ:

ভারত ও বাংলাদেশ ২০১০ সালের আগস্ট মাসে রেলওয়ে অবকাঠামো, ব্রড গেজ লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী কোচ সরবরাহ,বাস ক্রয় এবং ড্রেজিং প্রকল্পসহ অনেকগুলি প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কোন দেশে এটিই ভারতের বৃহত্তম ঋণ। ২০১২ সালে ভারত ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে ২০ কোটি ডলারকে অনুদান হিসেবে রূপান্তরের কথাও ঘোষণা করে।

  • ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমঝোতা স্মারক:

সমঝোতা স্মারকটি স্থানীয় সংস্থা, শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় মঞ্জুরি সহায়তা হিসেবে ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্পাদির বাস্তবায়ন করছে। জীবিকা নির্বাহ সংক্রান্ত  কর্মকান্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অথবা সম্প্রদায়গত উন্নয়নের মত ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র অবকাঠামো প্রকল্পসমূহের জন্য সমঝোতা স্মারকটি কাজ করছে।

পানিসম্পদ ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা

  • যৌথ নদী কমিশন:

অভিন্ন নদী-ব্যবস্থার সর্বোচ্চ উপকারলাভ ও লিয়াজোঁ বজায় রাখা, বন্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় উদ্ভাবনের কাজ, বন্যা পূর্বাভাস,ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ ও সেচ প্রকল্পসমূহের প্রস্তাব উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের জুন মাসে ভারত ও বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়।

  • গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি:

ফারাক্কায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জল বণ্টন যে ভিত্তিতে হয়েছে তার মোদ্দা কথা হচ্ছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রাপ্ত জল বণ্টন। গৃহীত উপায়ে লিন মওসুমে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত উভয়পক্ষে মৌলিক চাহিদা ও সর্বনি¤œচাহিদার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে,  স্বল্পতার বোঝার ন্যায়সঙ্গত ভাগাভাগির মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশের মৌল চাহিদা মেটানো। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক:

পারস্পরিক উপকার, সমতা, পারস্পরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে সৌর, বায়ু ও জৈব শক্তির ক্ষেত্রে কারিগরি ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি ও উৎসাহদানে সহযোগিতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশ

  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক:

বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও তথ্য বিনিময় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণায় যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।

  • সুন্দরবন রক্ষায় সমঝোতা স্মারক:

জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সম্পদের যৌথ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে জীবিকা সৃষ্টি, স্থানীয় উদ্ভিদ ও জীবকূলের তালিকা তৈরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমীক্ষার মত ক্ষেত্রসমূহে সহযেগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।

  • সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) রক্ষায় প্রটোকল:

সুন্দরবনের অনন্য প্রতিবেশ ব্যবস্থায় বাঘ রক্ষা, তার টিকে থাকা নিশ্চিত করতে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ এবং বন্যপ্রাণি সংগ্রহ,শিকার বা পাচার রোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের সুন্দরবনের জলপথে টহল, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জ্ঞান আদান-প্রদানের ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দিতে প্রটোকলটি স্বাক্ষরিত হয়। প্রটোকলটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিষয়ে জ্ঞান ও জানাশোনা বৃদ্ধি,প্রশিক্ষণের জন্য জনবল বিনিময় ও শিক্ষা প্রসারে সহযোগিতা দান করে থাকে।

উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা

  • পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ:

ভারত, বাংলাদেশ, ভূটান ও নেপালের মধ্যে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিকল্পে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের নির্দেশনার আলোকে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, অভিন্ন নদীর অভিন্ন জলাধার ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎখাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার সুবিধা পেতে পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত এই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপটি গঠিত হয়।

  • যাতায়াত ও সংযোগবিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ:

অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে সংযোগ, বাণিজ্য, পণ্য চলাচল ও সেবা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সড়ক ও রেলপথ নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটান যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপটির জন্ম হয়।

জনগণে-জনগণে বিনিময়

  • সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি (সিইপি):

২০০৯-২০১১ সময়কালের জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি সঙ্গীত, নাটক, শিল্প ও চিত্রকলা, বই প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিনিময় বৃদ্ধির দিক-নির্দেশনা দিয়েছে।

  • সংশোধিত ভ্রমণ ব্যবস্থা:

মানুষে-মানুষে ব্যাপক যোগাযোগ ও বিনিময় দুই দেশকে আরো ঘনিষ্ঠ করার সর্বোচ্চ পথ- এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে এ সংশোধিত ভ্রমণ ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করে এবং ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তা হালনাগাদ করা হয়। এ ব্যবস্থা দুই দেশের মধ্যেকার ভিসা ব্যবস্থা সহজতর করেছে এবং ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পর্যটক ও চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য ভ্রমণকারীদের সাহায্য করছে।

  • ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক:

দুই দেশের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষা, কারিগরি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অধিকতর জানাশোনার লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

*****