First Meeting of the High-Level Project Monitoring Committee on Indian LoCs সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় উচ্চস্তরের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রথম সভা

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় উচ্চস্তরের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রথম সভা

০৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত 'উচ্চ স্তরের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রথম বৈঠকে' ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় অর্থায়িত প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার। প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে এবং এলওসি তহবিলের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে সমস্যাসমূহ সমাধান এবং প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষের সম্মিলিতভাবে নেওয়া বেশ কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হল উচ্চ স্তরের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটি। উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটিতে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা এবং ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ঋণচুক্তির অধীনে ভারত সরকারের মোট প্রতিশ্রুতি ৭,৮৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যার মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য অনুমোদিত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকারের তিনটি ঋণচুক্তির আওতাধীন ৪৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১৪টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে (৪১২.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ৮টি প্রকল্প চলমান (,০১৩.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ১৫টি প্রকল্প দরপত্র পর্যায়ে (,১৯৫.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ১৪টি প্রকল্প ডিপিপি (,০৮১.৩৪ মার্কিন ডলার) ) প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পগুলির প্রায় ৮৩ শতাংশ এখনও পরিকল্পনা/ডিপিপি (প্রায় ৪১ শতাংশ) এবং দরপত্র (প্রায় ৪২ শতাংশ) পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ পর্যন্ত প্রায় ১,২৭৬.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা মোট ঋণচুক্তির ১৭ শতাংশ। এ জাতীয় চুক্তির আওতায় ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক এ পর্যন্ত ৭১৯.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তির মূল্যের ৫৬ শতাংশ) বিতরণ করেছে। প্রথম ঋণচুক্তির ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থানীয় উপকরণ বৃদ্ধি, ক্রয় প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং ঋণচুক্তি সংশোধনীর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতাধীন প্রকল্পগুলির সময়োপযোগী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রক্রিয়াগত বাধা পর্যালোচনা ও দূরীকরণে ১৮তম ঋণচুক্তি পর্যালোচনা সভার (২০-২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য) আগে একটি প্রযুক্তিগত পর্যালোচনার জন্য ঐকমত্য হয়েছিল।

ডিপিপি প্রস্তুতি এবং দরপত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা প্রকল্পসমূহ ত্বরান্বিত করার জন্য ফলোআপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির তহবিলের বাইরে চিহ্নিত প্রকল্পগুলির জন্য ডিপিপি প্রস্তুতি ত্বরান্বিতকরণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে, যাতে দ্রুত দরপত্রের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

এছাড়া, দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা বিজয়ী দরদাতাদের চুক্তি প্রদান এবং প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করবে। বাস্তবায়নের আওতাধীন প্রকল্পগুলি কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং সময়মতো অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যা প্রকল্পগুলির অগ্রগতিতে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে।



৫ জানুয়ারি ২০২১

ঢাকা



****