'স্বামী বিবেকানন্দ ও মানবতার সেবা' বিষয়ক আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকার বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

'স্বামী বিবেকানন্দ ও মানবতার সেবা' বিষয়ক আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকার বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

'স্বামী বিবেকানন্দ ও মানবতার সেবা' বিষয়ক আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকার বক্তব্য

  

জনাব এইচ টি ইমাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা

জনাব সৌমেন্দ্র সরকারবিচারপতিবাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

জনাব কাজী ফিরোজ রশীদমাননীয় সংসদ সদস্যঢাকা-৬

জনাব অসীম কুমার উকিলমাননীয় সংসদ সদস্য নেত্রকোণা-৩

জনাব আব্দুর রহমানচেয়ারম্যানরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)ঢাকা

শ্রীমৎ স্বামী অমেয়ানন্দজী মহারাজরামকৃষ্ণ মঠঢাকা

স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজসাধারণ সম্পাদকরামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনবেলুড় মঠভারত

শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিরূপানন্দজী মহারাজ, মস্কো, রাশিয়া

স্বামী তত্ত্ববিদানন্দ মহারাজসহসাধারণ সম্পাদকরামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনবেলুড় মঠভারত

স্বামী ধ্রুবেশানন্দ, অধ্যক্ষ, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা

ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

মূর্তিটি ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় (৬.১ কোটি টাকা ব্যয়ে) ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে নির্মাণাধীন পাঁচ তলাবিশিষ্ট ছাত্রাবাসের অংশ।

আজ সকালে রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে জেনেও আমি আনন্দিত।

আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী ভারতের জাতীয় যুব দিবস হিসেবে উদযাপন করি।

স্বামী বিবেকানন্দ ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম অনুপ্রেরণীয় ও সম্মানিত ব্যাক্তি। উনবিংশ শতকের অন্যতম মহান পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সংস্কারক হিসেবে তিনি আধুনিক ভারতকে রূপদান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে যখন আমরা চারদিকে এত সহিংসতা, দুর্যোগ, যুদ্ধ এবং নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন, তখন তাঁর ধারনাগুলির প্রাসঙ্গিকতা এখনও খুঁজে পাই।

স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার কেন্দ্রীয় দিকগুলির একটি ছিল মানবতার সেবায় তাঁর অঙ্গীকার। তিনি মনে করতেন মানবতার সেবা এবং বদান্যতা একটি বিশেষ সুযোগ। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, সমস্ত উপাসনার মূল হচ্ছে পরিশুদ্ধ হওয়া এবং অপরের মঙ্গল করা।

১৮৯৭ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এক শতকের বেশি সময় ধরে সমাজ সেবায় তাঁর ধারণা বাস্তবায়ন করছে। আমরা সবাই জানি, রামকৃষ্ণ মিশন বিশ্বের নানা প্রান্তে এর বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, গ্রামীণ উন্নয়ন, নারীকল্যাণ, দুর্যোগ ত্রাণ প্রভৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

স্বামী বিবেকানন্দের সেবার ধারণা এবং রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যক্রমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যে, তারা সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাইকে সেবা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে, এটি বর্ণ, ধর্ম, বা জাতীয়তার উপর ভিত্তি করে বৈষম্যের জোরালোভাবে বিরোধিতা করে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃতপক্ষে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অংশের শান্তি, সামঞ্জস্য এবং উন্নতির জন্য বিশেষ অবদান রাখছে।

আমরা বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যক্রমকে সমর্থন করে আসছি এবং সারা দেশে তাদের কেন্দ্রগুলিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি।

আজকের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী এবং রামকৃষ্ণ মিশনের অন্যান্য সাধুদের ধন্যবাদ জানাই।

ধন্যবাদ।

****