সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজে হাই কমিশনারের বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজে হাই কমিশনারের বক্তব্য

[বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান; ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮; সময় ১০:৩০টা] 

  • বিশেষ অতিথিগণ
  • ড. শামসুল বারী;
  • ড. ফাদার জেমস শ্যামল গোমেজ, সিএসসি;
  • ড. ব্রাদার লিও জেমস পেরেরা, সিএসসি;
  • অধ্যক্ষ ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গোমেজ, সিএসসি;
  • উপাধ্যক্ষ ব্রাদার নিকোলাস টলেন্টিনু, সিএসসি;
  • শিক্ষক ও স্টাফ সদস্যগণ;
  • প্রিয় শিক্ষার্থীগণ!

নমস্কার!

আজকে এখানে আপনাদের কাছে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের ইতিহাস দীর্ঘ এবং গৌরবোজ্জ্বল।

উনবিংশ শতকে বৃটিশ ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম কয়েকটি স্কুলের মধ্যে এটি অন্যতম।

স্কুলটির ১৩৬ বছরের ইতিহাসে এটি কয়েক প্রজন্মের তরুণদের আধুনিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়েছে। 

এ স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তালিকা বেশ আকর্ষনীয়। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, একজন নোবেল বিজয়ী, বিচারক, সরকারী কর্মকর্তা, শিল্পী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করেছেন।

এই সম্মানজনক প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পারার জন্য আমি সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাই।

সবার জীবনেই স্কুল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই স্কুলে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নতি আপনাদের সারা জীবন সাহায্য করবে।

জ্ঞানের পাশাপাশি এই স্কুলের যে উত্তরাধিকার আপনারা বহন করবেন তা আপনাদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে সহায়ক হবে। এটি সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে। 

আপনারাই নিজেদের সমাজ, দেশ ও বিশ্বের নির্মাতা।

আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি। আমাদের চারপাশেই প্রযুক্তির অনেক ধরনের উৎকর্ষতা বিরাজ করছে। কিন্তু পাশাপাশি মানুষের মৌলিক মূল্যবোধের প্রতিও সমান গুরুত্বের সাথে জোর দিতে হবে যখন বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের বিরোধ দেখা দিচ্ছে।

ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের সংযোগ সভ্যতার। আমাদের আছে অভিন্ন ইতিহাস, ভূগোল, শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্য। আমরা আমাদের উৎসব একসাথে উদযাপন করি।

১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মিলে যুদ্ধ করেছি। ভারতীয় সেনারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সবসময় পাশে থাকব। আমরা ভাল সময়ে এবং একে অন্যের প্রয়োজনে সাথে থাকব।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে আমরা অংশীদার হতে চাই। আপনাদের ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদেরও স্বপ্ন।

আজকে আপনাদের দিকে তাকিয়ে আমি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আমি আপনাদের সবাইকে দেশের উন্নতির জন্য এবং ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী জোরদার করতে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

যারা আজ পুরস্কৃত হচ্ছেন সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একজন মানুষের সেরাটা বের হয়ে আসে। আমি পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের প্রশংসা জানাতে এখানে যোগ দিয়েছি।

পরিশেষে, এই স্কুলে আমি আপনাদের আনন্দময় শিক্ষাজীবন কামনা করি। সবার সফল জীবন ও উজ্জ্বল কর্মময় ভবিষ্যৎ কামনা করি।

আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে স্কুলের অধ্যক্ষ এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদকে ধন্যবাদ।

নমস্কার!

****