‘শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির সম্প্রসারিত উন্নয়ন কাজ’ এর জন্য আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাই কমিশনারের বক্তব্য
তারিখ: ৯মার্চ ২০১৭ বিবৃতি ও বক্তৃতা

‘শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির সম্প্রসারিত উন্নয়ন কাজ’ এর জন্য আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাই কমিশনারের বক্তব্য তারিখ: ৯মার্চ ২০১৭

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা 

‘শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির সম্প্রসারিত উন্নয়ন কাজ’ এর জন্য আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাই কমিশনারের বক্তব্য

[শিলাইদহ, ৯ মার্চ ২০১৭] 

মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাননীয় জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী শফিকুল আজম

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান

পুরাতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক আলতাফ হুসেইন

ডেপুটি হাই কমিশনার, ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা

ইউএনও এবং এডিসি, কুষ্টিয়া

পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া

গণমাধ্যম থেকে আগত ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগণ, 

আজ ভারত ও বাংলাদেশ -দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আর একটি মাইলফলক স্পর্শ করল। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়ি কুঠিবাড়ি কমপ্লেক্সে রবীন্দ্র ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য সংস্কার কাজের জন্য আমরা একটি আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত সরকার এই প্রকল্পটির জন্য ১৮ কোটি ১৭লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। 

২.      ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি ২০১৩-এর মার্চে তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় সর্বপ্রথম প্রকল্পটি ঘোষণা করেন। ৭ জুন ২০১৫ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি। 

৩.      আশা করা হচ্ছে যে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক জায়গায় ঠাকুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে রবীন্দ্র ভবনটি নির্মিত হবে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভাগ করে নিতে একটি সেতু হিসেবে কাজ করবে। এই প্রকল্পটি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক বন্ধনকে নিবিড়তম করবে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রতীক হিসেবে রয়ে যাবে।  

৪.      রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত ও বাংলাদেশে সমভাবে সমাদৃত। এটি খুবই আনন্দদায়ক ও প্রেরণামূলক বিষয়, যা কমবেশি আমরা সকলেই জানি, যে আমাদের উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই কমপ্লেক্সে বসে গুরুদেব তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সোনার তরী রচনা করেছিলেন। 

৫.      এই প্রকল্পের আওতায়, রবীন্দ্র ভবন নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়েছে যেখানে ঠাকুর-ঐতিহ্য তুলে ধরতে একটি অত্যাধুনিক প্রদর্শনী গ্যালারি, প্রজেকশন সুবিধাদি, রবিঠাকুর রচিত ও সুরোরাপিত সঙ্গীত ও নৃত্য বিষয়ে পাঠদান কক্ষ, ঠাকুর সম্পর্কিত গ্রন্থ সংরক্ষণের জন্য পাঠাগার, হস্তশিল্পালয় ইত্যাদি থাকবে। কমপ্লেক্সটিতে অন্যান্য সুবিধাদি যেমন অতিথিশালা, ক্যাফেটেরিয়া, মুক্তমঞ্চ অথবা অ্যাম্ফিথিয়েটার, ইত্যাদি থাকবে। এছাড়া, কুঠিবাড়ি কমপ্লেক্সে প্রস্তাবিত সম্প্রসারিত কাজগুলোর মধ্যে এমন অনেক নির্মাণ শৈলী থাকবে যা, আমি নিশ্চিত, পুরো কমপ্লেক্সটির মূলনকশা অক্ষুন্ন রেখে এতে একটি নতুন রূপ দান করবে। কমপ্লেক্সটি ১১ একর জমির উপর অবস্থিত এবং কবি ও স্থপতি রবিউল হাসান এর নকশা তৈরি করেছেন। 

৬.      এই সুযোগে আমি ইআরডি এবং বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগকে আমাদের অভিবাদন জানাচ্ছি যাদের
অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে আজ এই আর্থিক চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। 

৭.      এই কথাগুলো বলে আমি শেষ করছি এবং এখানে উপস্থিত প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

 

*****