বিওয়াইডি কর্নার লঞ্চ ইভেন্ট উপলক্ষ্যে বক্তৃতা বিবৃতি ও বক্তৃতা

বিওয়াইডি কর্নার লঞ্চ ইভেন্ট উপলক্ষ্যে বক্তৃতা

বিওয়াইডি কর্নার লঞ্চ ইভেন্ট উপলক্ষ্যে বক্তৃতা

                বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,

বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ ও সম্মানিত বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন অ্যালামনাইগণ,

১. বিওয়াইডি অ্যালামনাইগণের এই সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ, আমরা ভারতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনে আপনাদের অংশগ্রহণকালে অর্জিত মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত হয়ে তার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য একত্রিত হয়েছি।

২. ভারতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আন্তর্জাতিক যুব বিনিময়ের অধীনে পরিচালিত একটি বহুল আলোচিত কর্মসূচি। কর্মসূচিটির লক্ষ্য আমাদের দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, নেতৃত্বের বিকাশ ও মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগের ওপর প্রতিষ্ঠিত আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে এবং এই দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে, আমরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ়মূল সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য রাখি।

৩. আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ২০১১ সালে এটি চালু হওয়ার পর থেকে, প্রায় ৮০০ জন প্রতিনিধি ভারতের বিভিন্ন স্থানে সফর করেছেন। ২০২২ সালটি আমাদের জন্য বিশেষ ছিল। এই বছরেই আমরা ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম এবং বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, যাতে যে যেখানেই থাকুক না কেন এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।

৪. আজকে আপনাদের অনেককে এখানে দেখে আমি আনন্দিত। আপনারা বাংলাদেশের তারুণ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ ও উজ্জ্বলতম অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই কর্মসূচিতে আপনাদের অংশগ্রহণ হলো অন্যান্য সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার, বন্ধুত্বের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ও নেতৃত্বের সম্ভাবনা বিকাশের প্রতি আপনাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।

৫. এই প্রেরণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা আমাদের অ্যালামনাইগণের মধ্যে ক্রমাগত অন্তর্ভুক্তি ও আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনকে একটি টেকসই প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আমরা আজ বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন কর্নার উদ্বোধন করছি। বিওয়াইডি কর্নার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার, আলাপচারিতা করার ও তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে। আমাদের অ্যালামনাইগণের জন্য বিওয়াইডি কর্নারে নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

৬. উপরন্তু, আমরা বিওয়াইডি অ্যালামনাই পোর্টালও চালু করেছি। এই পোর্টালের মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল প্রতিনিধিদের একটি অনন্য বিওয়াইডি অ্যালামনাই কার্ড প্রদান করার লক্ষ্য পোষণ করি। এই প্রক্রিয়ায় আমাদের অ্যালামনাইগণকে সহায়তা প্রদানে একটি বিওয়াইডি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও গঠন করা হচ্ছে।

৭. আমি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে ফিরে আসার পর থেকে আপনারা ভারতে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা আপনাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় জীবনেই প্রয়োগ করছেন। আপনারা আমাদের শুভেচ্ছার দূত এবং আপনারা আমাদের দুই দেশের মধ্যে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৮. বিশ্ব বর্তমানে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, এবং এর সমাধান খুঁজতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করাটা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধসম্পন্ন আমাদের দুটি দেশ এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৯. আমি সুনিশ্চিত যে, বিওয়াইডি অ্যালামনাই হিসেবে আপনারা এই প্রচেষ্টায় একটি অত্যাবশ্যকীয় শক্তি হয়ে থাকবেন। আপনাদের বৈচিত্র্যময় প্রেক্ষাপট ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, আপনাদের সম্প্রদায়, আপনাদের দেশ ও বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সম্ভাবনা আপনাদের মাঝে রয়েছে।

১০. পরিশেষে, আমি আবারও ভারতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনে অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আমি আশা করি যে এই সমাবেশটি আপনাদেরকে পুনরায় সংযুক্ত করার, আপনাদের অভিজ্ঞতাসমূহ বিনিময় করার এবং বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মূল্যবোধের প্রতি আপনাদের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে যা এই কর্মসূচিটির ভিত্তি বিনির্মাণ করে।

ধন্যবাদ!