৫ম ভারতীয় শিক্ষামেলায় (১৮-১৯ জুলাই ২০১৮) ভারতীয় হাই কমিশনারের বক্তব্য [কেআইবি কনভেনশন হল, ফার্মগেট, ঢাকা] বিবৃতি ও বক্তৃতা

৫ম ভারতীয় শিক্ষামেলায় (১৮-১৯ জুলাই ২০১৮) ভারতীয় হাই কমিশনারের বক্তব্য [কেআইবি কনভেনশন হল, ফার্মগেট, ঢাকা]

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

৫ম ভারতীয় শিক্ষামেলায়(১৮-১৯ জুলাই ২০১৮)ভারতীয় হাই কমিশনারের বক্তব্য

[কেআইবি কনভেনশন হল,ফার্মগেট,ঢাকা]

বাংলাদেশে ৫ম ভারতীয় শিক্ষামেলায় উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

২.      শিক্ষার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশকে যুক্ত করার এই উদ্যোগ নেয়ায় আমি‘সেপ’ (এসএপিই)ইভেন্টস এন্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী সঞ্জয় থাপাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এছাড়াও শ্রীলংকা,ভুটান,নেপাল,মায়ানমার,ইন্দোনেশিয়া,ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় শিক্ষামেলা আয়োজন করে থাকে‘সেপ’।    

৩.      আমি শিক্ষামেলায় অংশ নেয়া ভারতের ৫০টি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বাগত জানাচ্ছি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি(এনআইটি)-ওয়ারাঙ্গাল,তিরুচিরাপল্লি,দুর্গাপুর,রৌরকেলা,গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি,জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি-হায়দ্রাবাদ,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়,রবীন্দ্র ভারতী,বিশ্ব-ভারতী,শান্তিনিকেতন এগুলোর মধ্যে অন্যতম।

৪.  জ্ঞান ও সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সন্ধানে এখানে আসা অভিভাবকদেরও স্বাগত জানাচ্ছি আমি।

৫.  উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য;এখানে প্রায় ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩৮,০০০ কলেজ রয়েছে,ইংরেজী ভাষাভাষী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম দেশ এবং আধুনিক সুবিধাসহ বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে।ভারতে পড়াশোনা করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে,যার কয়েকটি হল-অভিন্ন ভাষা,সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস,নৈকট্য,সর্বোত্তম যোগাযোগ ও সকলের সামর্থের মধ্যে।ভারতে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৮০০;প্রকৌশল কলেজের সংখ্যা ৫৬৭২টি;আন্তর্জাতিক স্কুলের সংখ্যা ৬৮৭টি;কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা আসন ১.২ মিলিয়ন,কারিগরি শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে আসন সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন,কারিগরি শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন সংখ্যা ০.৫ মিলিয়ন.

৬.  ‘ভারতেউচ্চশিক্ষা’ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের একটি নতুন প্রকল্প।ভারত সরকার ১০০টি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে[২৫০০ কোর্সে,ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ টেকনোলজি(এনআইটি),ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ টেকনোলজি(আইআইটি)ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ ম্যানেজমেন্ট(আইআইএম)]১৯০০০ আসনে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। এই প্রকল্পে ৯৫০০ এর বেশি ফি ছাড়/বৃত্তি রয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে। 

৭.  আইসিসিআর প্রকল্পের আওতায় ভারত সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ২০০টি বৃত্তি দিয়ে থাকে। ২০১৮-১৯ সালে,স্নাতক,স্নাতকোত্তর ও ‍পিএইচডি পর্যায়ে এই বৃত্তির জন্য ৩০০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। যদিও প্রকৌশল ক্ষেত্রে আসন চাহিদা অনেক বেশি,তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগীত,নৃত্য,শিল্পকলা,সাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৃত্তির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং মূল্যবান সময় বাঁচাতে ২০১৮ সালে আইসিসিআর প্রথমবারের মত‘এটুএ স্কলারশিপস’নামে একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব পোর্টাল চালু করেছে। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের বিস্তারিত তথ্য,পছন্দের কোর্স,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,পাসপোর্টের তথ্য,মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং সকল প্রাসঙ্গিক নথি ঘরে বসেই আপলোড করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় ও অর্থ বাঁচায়।

৮.  যারা ভারতে পড়াশোনা করতে চায়‘ইন্ডিয়া এডুকেটস স্পট এডমিশন এক্সপো’ (২৯-৩০ জুন ২০১৮), ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’ (৬-৭ জুলাই ২০১৮)এবং‘ইন্ডিয়া এডুকেশন ফেয়ার’ (১৮-১৯ জুলাই ২০১৮)এর মত আয়োজনগুলো তাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।‘সেপ’ইভেন্টসও শিক্ষার্থীদেরদৃষ্টি ও ক্যারিয়ার ডিরেক্টরিএর মত বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সাহায্য করে। বিস্তারিত জানা যাবে ওয়েব পোর্টালে www.collegeofindia.org

৯.      আমি ৫ম ভারতীয় শিক্ষামেলার সাফল্য কামনা করছি। 

ঢাকা

১৮ জুলাই ২০১৮