সুনামগঞ্জের ছাতকের চেচানে প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনীতে হাই কমিশনারের বক্তব্য  বিবৃতি ও বক্তৃতা

সুনামগঞ্জের ছাতকের চেচানে প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনীতে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

সুনামগঞ্জের ছাতকের চেচানে প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনীতে হাই কমিশনারের বক্তব্য

[৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮]

মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম,

পার্টনারস্ ইন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ড. জো থমাস,

জনাব মহিবুর রহমান মানিক, সাংসদ,

. জয়া সেনগুপ্ত, সাংসদ,

এডভোকেট ফজলুর রহমান মিসবাহ, সাংসদ,

মো. সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ,

মো. বরকতউল্লাহ, পুলিশ সুপার,

. নজরুল ইসলাম, প্রোগ্রাম পরিচালক, পিপিডি,

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মহি, প্রধান প্রকৌশলী,

কাজী মহিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়,

জনাব ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, চেয়ারম্যান, দয়রাবাজার উপজেলা, সুনামগঞ্জ,

ডা. আশুতোষ দাশ, সিভিল সার্জন, সুনামগঞ্জ

এবং

সম্মানিত অতিথিবর্গ,

স্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটি মৌলিক সুবিধা যা প্রতিটা রাষ্ট্র তার প্রত্যেক নাগরিককে দেয়ার চেষ্টা করে।

এই ধারণা থেকেই কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উৎপত্তি। এই লক্ষ্যেই ভারত সরকার বাংলাদেশে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যে সকল এলাকায় পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নেই সে সব জায়গাগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করার জন্য বিশেষভাবে বাছাই করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে এ ধরণের প্রথম ক্লিনিকের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

ভারতের মাননীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১৭ সালের অক্টোবরে তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় মাননীয় মন্ত্রী নাসিমসহ ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের ফলক উন্মোচন করেন।

ভারত সরকার এসব কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য নয় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

ভারতীয় হাই কমিশন পার্টনারস্ ইন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) কে সাড়ে চার কোটি টাকা হস্তান্তর করেছে।

এ দেশের দূর প্রান্তের মানুষের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে হাত মেলাতে পেরে ভারত সরকার খুব আনন্দিত। প্রতিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ৬০০০ মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব।

আমি মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং সেই সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পিপিডি-কে ধন্যবাদ জা্নাচ্ছি।

আমি আশা করি ভারত সরকারের অর্থায়নে সব কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ পরিকল্পনা মতো এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

সবাইকে ধন্যবাদ।

****