বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮-এ ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮-এ ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

***

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮-এ ভারতীয় হাই কমিশনার

শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

[১৮ মে, ২০১৮, সকাল ১১.০০, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ]

 

প্রধান অতিথি

  • জনাব ওবায়দুল কাদের, মাননীয় মন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী

বিশেষ অতিথি

  • জনাব নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
  • ড. বীরেন সিকদার, মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

শ্রী জয়ন্ত সেন দীপু, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ;

শ্রী তাপস কুমার পাল, মহাসচিব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ;

বাংলাদেশের বিভিন্ন নগর, শহর, ইউনিয়ন পরিষদের উপ-কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ;

বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যবৃন্দ;

বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ;

নমস্কার!

আমি আজ এখানে আসতে পেরে খুব খুশি।

পূজা উদযাপন পরিষদ তাদের বৃহত্তম উৎসব উদযাপনে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে একত্রিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন 'ধর্ম যার যার,-উৎসব সবার'। আমি নিজে বাংলাদেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে একসঙ্গে একে অপরের উৎসব উদযাপন করতে দেখেছি।

ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ। আমাদের সভ্যতাগত সংযোগ আছে। আমাদের ইতিহাস, ভূগোল, শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যে মিল রয়েছে। আমরা আমাদের উৎসব একসঙ্গে উদযাপন করি।

সমাজের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত করার চেষ্টা করে এমন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর হুমকি আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করি।

আমি সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে ভাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশ ও অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যেকোন প্রকার ‘চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের’ প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ, পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যক্রম শুধু পূজা উৎসব আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কয়েক বছর ধরে, এটি বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি নেতৃস্থানীয় সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

জাতীয়-পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ-পর্যায় পর্যন্ত পূজা উদযাপন কমিটির নেটওয়ার্কটি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বাধিক প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান।

পূজা উদযাপন কমিটি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের সংযোগ স্থাপন করেছে। সংকটের সময় এই কমিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য ‘প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা’ হিসেবে কাজ করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবদান সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

হিন্দুরা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে এই সম্প্রদায়ের অবদান উল্লেখযোগ্য। সংখ্যালঘু জনসংখ্যার কল্যাণ সমাজে শান্তি বজায় রাখতে সর্বদা সহায়ক।

আমি আপনাদের সবাইকে আপনার দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে শক্তিশালী করার আহবান জানাচ্ছি।

আমি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করতে আমাকে আমন্ত্রনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

সম্মেলনের শেষে পরিষদের একটি নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহন করবে। আমি আশা করি, আগামী দুই বছরে নতুন কমিটির কাজ করার জন্য সম্মেলনে প্রয়োজনীয় এজেন্ডা উপস্থাপিত হবে।

আমি সন্মেলনের জন্য আপনাদের সবাইকে শুভেছা জানাই।

নমস্কার!

***