ভারত@বাংলাদেশ ২.০ আর্ট ক্যাম্পে হাই কমিশনারের বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

ভারত@বাংলাদেশ ২.০ আর্ট ক্যাম্পে হাই কমিশনারের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

 

ভারত@বাংলাদেশ ২.০’ আর্ট ক্যাম্পে হাই কমিশনারের বক্তব্য

[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮]

 

অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,

নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা,

জনাব রফিকুন নবী এবং অধ্যাপক আব্দুল মান্নান,

সম্মানিত বিচারকমণ্ডলী এবং প্রিয় প্রতিযোগীবৃন্দ,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ,

বিশিষ্ট অতিথিবর্গ,

গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ,

নমস্কার, আসসালাম ওয়ালাইকুম, শুভ সন্ধ্যা।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এত সুন্দর ক্যাম্পাসে এই আর্ট ক্যাম্প আয়োজন করতে ভারতীয় হাই কমিশনকে আন্তরিক সহায়তা করার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এবং চারুকলা বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভারতীয় হাই কমিশন সবসময়ই তরুণ মেধাবীদের উৎসাহিত করতে এবং দুই দেশের তরুণদের মধ্যে মৈত্রী ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার বন্ধনকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আমাদের দুই দেশেরই জনসংখ্যার বিশাল অংশ তরুণ।

এই লক্ষ্যে, আমরা ২০১৬ সালের আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত@বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের প্রতিযোগিতার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভারত@বাংলাদেশ ২.০’ এবং এ প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সেরা মনে করেছি।

গতবার, আমরা শুধু ঢাকা থেকে প্রতিযোগী পেলেও সবার আন্তরিক সাড়া পেয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগীদের আমন্ত্রণ জানাতে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ময়মনসিং, চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ এবং রাজশাহীসহ সারা দেশের ১১টি প্রধান প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত ৫০ জন প্রতিযোগী এই অত্যন্ত সফল এবং উৎসবমুখর ইভেন্টে অংশ নিয়েছে দেখে আমি খুশি হয়েছি । এই উৎসব আমাদের চিরন্তন বন্ধুত্বের বর্ণীল সাক্ষ্য।

অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করার সময়, আমরা ভেবেছিলাম যে প্রতিযোগীদের আমরা নির্বাচনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃত রূপের প্রতিফলন করে এবং আমাদের দুই মহান দেশের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন প্রকাশ করে এমন কিছু বিষয় দেব। বিষয়গুলো ছিল: ‘‘ভারত@৭০- গত ৭০ বছরে ভারতের উন্নতি’’, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধুত্বের বিজয়’’, ‘‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’’, এবং সবার উপরে ‘‘মৈত্রী’’। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষ বন্ধন এবং অসাধারণ সম্পর্ক নিয়ে একজন তরুণ শিল্পীর ভাবনা এবং এই ভাবনাকে তুলির আঁচড়ে কীভাবে জীবন্ত রূপ দেয় সেটি আবিষ্কার করা।

আমি অবশ্যই বলব প্রতিযোগীদের দারুণ সব সৃষ্টি আমাদের সকল প্রত্যাশা অতিক্রম করে গেছে। সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা সবাই বিজয়ী!! আমি প্রত্যাশা করি আপনারা এই বিশেষ কাজ অব্যাহত রাখবেন এবং আপনাদের দক্ষতা আমাদের অসাধারণ বন্ধুত্ব এবং সংহতি যা আমাদের সম্পর্কের পরিচায়ক তা প্রচারে ব্যবহার করবেন।

আমি নিশ্চিত আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আমি শিল্পকলায় নৈপুণ্য অর্জনের ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য ভারতে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আইসিসিআর বৃত্তি এ ধরণের একটি সুযোগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ও উৎসাহিত করি এবং আমি জানতে পেরেছি যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের অনেক বিনিময়মূলক আয়োজন করে। আমরা এ ধরনের সফরগুলো সহজতর করে আনন্দিত।

এ বছর এতই উচ্চমানসম্পন্ন আয়োজন হয়েছে যে, আমরা আশা করি পরের বছরও সেটা বজায় রেখে আরও বিশাল আয়োজন করব। আমি আবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে এই সফল অংশীদারিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি ভষ্যিতেও আমরা এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে একসাথে কাজ করব। আমি আপনাদের সবাইকে বিশেষত সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যস্ত সূচি থেকে সময় বের এখানে এসেছেন এবং উদীয়মান তরুণ শিল্পীদের উৎসাহিত করে আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। আমি এই অবসরে অমর একুশের গৌরবময় স্মৃতির প্রতি অগ্রীম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরজীবী হোক। নমস্কার।

 

****