নাটোর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিবৃতি ও বক্তৃতা

নাটোর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন

আইসিটি বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক

সিনিয়র সচিব, আইসিটি বিভাগ, জনাব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ

সহকর্মী এবং বন্ধুগণ,

শুভ সকাল।

বাংলাদেশের ১২টি জেলায় আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য ভারত সরকারের লাইন অফ ক্রেডিট প্রকল্পের অধীনে নাটোরে আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আজ এখানে উপস্থিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। আমি ২০২২ সালের এপ্রিলের প্রথম দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আইটি পার্কের জন্য প্রথম এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম এবং আমি এটা জেনে আনন্দিত যে এই অল্প সময়ের মধ্যে রংপুর, জামালপুর, কক্সবাজার, খুলনা, ময়মনসিংহ, এবং বরিশালেও আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূল্য ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের উন্নয়ন সহায়তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিস্তৃত যা বিভিন্ন সেক্টরকে কভার করে এবং এটি বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। ১২টি আইটি/হাই-টেক পার্কের প্রকল্প বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যা ভারত সরকার তার রেয়াতযোগ্য ঋণের অধীনে অর্থায়ন করছে। আমি আশা করি যে এই প্রকল্পের মতোই, ভারত সরকারের ছাড় দেওয়া ঋণের অধীনে নেওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলিও দ্রুত অগ্রসর হবে যাতে আমাদের সম্মিলিত বিনিয়োগ এবং প্রচেষ্টা সুফল এনে দেয় এবং বৃহত্তর উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। বর্তমানে, প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের আমাদের প্রকল্পগুলির প্রায় এক-চতুর্থাংশ রয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতির পর্যায়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্রুততম সময়ে প্রকল্প প্রস্তুতি সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি বাজারের অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাস্তবসম্মত ব্যয়প্রাক্কলন চিহ্নিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণকাজ, বিশেষ করে মহামারী পরবর্তী এই সময়ে। এই প্রকল্পগুলি একবার বাস্তবায়িত হলে, এমন সকল সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সত্যিকার অর্থে রূপান্তরকারী হতে পারে

এই প্রকল্পটি দ্রুত এই পর্যায়ে পৌঁছানোর পেছনে বিশাল কৃতিত্ব রয়েছে প্রগতিশীল আইসিটি মন্ত্রী জনাব পলকের, যার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ প্রতিদিন চমৎকার পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এই আইটি/হাই-টেক পার্কগুলি বাংলাদেশে আইটি/আইটিইএস শিল্পের প্রচারে, আইটি/আইটিইএস/বিপিও হাব স্থাপন এবং রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এই জাতীয় অন্যান্য বিষয়ের মতো নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই আইটি পার্কগুলির সাহায্যে যে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে, তা অবশ্যই আমাদের উভয় দেশ এবং এই সমগ্র অঞ্চলের অর্থনীতিতে একটি ব্যাপকভাবে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। এটাও গর্বের বিষয় যে এই আইটি পার্কগুলোকে গ্রিন বিল্ডিং হিসেবে নির্মাণ করা হবে, যেখানে অত্যাধুনিক অবকাঠামো রয়েছে যা শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং উচ্চ মানের নান্দনিকতায় পূর্ণ।

এই প্রকল্পের অধীনে নির্মিত আইটি/হাই-টেক পার্কগুলি আইসিটি সেক্টরে ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের একটি স্থায়ী প্রতীক হবে এবং আমি নিশ্চিত যে এটি আমাদের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। পবিত্র রমজান মাসে প্রথম এই ধরণের পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল এবং সেই শুভ সূচনা আজ আমাদের এই মাইলফলকে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে যখন আমরা এই ধরনের অষ্টম পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। বাকি চারটি পার্কও খুব দ্রুত জনসমক্ষে আসবে বলে আমি নিশ্চিত।

আমি আইসিটি মন্ত্রণালয় ও বিএইচটিপিএ কে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং একই সাথে ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্ক ও প্রকল্পের সাথে যুক্ত আমাদের ভারতীয় সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলের সাফল্য কামনা করছি।

****