Remarks by High Commissioner of India, H.E. Ms. Riva Ganguly Das at the Inauguration of Bharat-Bangladesh Maitree Girls’ Hostels in Niamatpur Girls’ School and College and SangshoilAdibasi Girls’ School and College চলমান ঘটনাবলী

নিয়ামতপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং সাংশৈল আদিবাসী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ''ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রীনিবাস” উদ্বোধনে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলী দাসের বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন
ঢাকা

নিয়ামতপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং সাংশৈল আদিবাসী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ''ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রীনিবাস'' উদ্বোধনে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলী দাসের বক্তব্য

[৭ই মে ২০১৯, নিয়ামতপুর, নওগাঁ]

Ø মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার

Ø মাননীয় সংসদ সদস্য, নাটোর ২, জনাব শফিকুল ইসলাম শিমুল

Ø মাননীয় মেয়র নাটোর, শ্রীমতী উমা চৌধুরী

Ø নওগাঁ জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

Ø সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ নওগাঁ জনাব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেইন

Ø চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, নিয়ামতপুর, জনাব ফরিদ আহমেদ

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ

শুভ সকাল|

নিয়ামতপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং সাংশৈল আদিবাসী স্কুল এন্ড কলেজের জন্য নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী গার্লসহোস্টেল উদ্বোধনের জন্য এখানে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত|

২. ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে এক বিশেষ সম্পর্ক যা অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও ইতিহাসের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত| বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা ভারতের অন্যতম জনবহুল একটি রাজ্যে কথিত হয়ে থাকে|আমাদের জাতীয় সঙ্গীত একই ব্যক্তিত্ব- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিখিত হওয়ায় আমরা সম্মানিত|বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল, শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, লালন ফকির প্রমুখ, সীমান্তের উভয় পারে জনগণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় উচ্চারিত| বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও একসাথে লড়াই ও বিজয় অর্জনেও আমাদের অভিন্ন ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে।

৩. নওগাঁ জেলা এবং এ অঞ্চলও আমাদের অভিন্ন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি অনেক ঐতিহাসিক স্থানের সূতিকাগার,যার মধ্যে রয়েছে পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহার--ইউনেস্কোর অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য এবং বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ বিহার ;ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত সুন্দর কুসুম্ব মসজিদ। এ অঞ্চলটি গান্ধীজির সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট , যিনি ১৯২৫ সালে আত্রাইয়ের গান্ধী আশ্রমপরিদর্শন করেন।

৪. আজ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। উভয় দেশ ব্যাপক ক্ষেত্রে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারিতকরেছে। রাস্তা, রেল, বিমানবন্দর ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত সরকার বাংলাদেশের জন্য ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ সরবরাহ করেবেশ কিছু বড় প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে। ভারত সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, সংস্কৃতি, নগর উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেবাংলাদেশে ‘হাই ইমপ্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও ভারত সরকার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারালরিলেশন্স প্রোগ্রামের অধীনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে।

৫. আমাদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অংশ-এ দু'টি ছাত্রীনিবাসের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আমি অনেক খুশি।আমিজানি যে, এখানে প্রতি ছাত্রীনিবাসে ৫০ জন শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব স্কুলে পড়াশুনা করার জন্য এ অঞ্চলেরবিভিন্ন অংশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অনেক সুবিধাজনক হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে আরো নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতেউৎসাহিত করবে।

পরিশেষে, আমি আজকে নারী শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, নারীরা আজ সব জায়গায় পুরুষদের সাথে সমানভাবে দেশের জন্যকাজ করছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বৈমানিক থেকে শুরু করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্যএবং স্পিকারের পদ অলংকৃত করছে। তোমরা দেশের সম্পদ। নিজেকে শুধুমাত্র নারী না ভেবে একজন মানুষ হিসেবে মাথা উঁচু করেসামনে এগিয়ে যেতে হবে, নিজের ও দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করতে । ধন্যবাদ সকলকে।

****