আইটেক ও আইসিসিআর দিবসে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য বিবৃতি ও বক্তৃতা

আইটেক ও আইসিসিআর দিবসে ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

ভারতীয় হাই কমিশন

ঢাকা

ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বক্তব্য

আইটেক ও আইসিসিআর দিবস, মার্চ ১৯, ২০১৮

মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম, এমপি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,

সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,

প্রিয় সাবেক আইটেক ও আইসিসিআর শিক্ষার্থীগণ,

গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ।

শুভ সন্ধ্যা

বার্ষিক আইটেক ও আইসিসিআর দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকে আমরা আমাদের সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মরণ করি, তাদের সাথে আমাদের বন্ধন নবায়ন করি এবং এই দুই জনপ্রিয় কর্মসূচির সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপুল সংখ্যক মেধাবীদের গৌরবময় সমাবেশ প্রত্যক্ষ করি এই অনুষ্ঠানে।

২. ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচি (আইটেক) ভারত সরকারের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রশাসনের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি। ১৯৬৪ সালে চালু হওয়া এ কর্মসূচিটি এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবীয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোসহ ১৬১টি দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন নির্মাণে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে সাত দশকে ভারতের অর্জিত উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আইটেক হচ্ছে পারস্পরিক কল্যাণের জন্য সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বিষয়ক কর্মসূচি।

৩. প্রতিবছর, ভারত জুড়ে প্রায় ৫০টি তালিকাভুক্ত সেরা প্রতিষ্ঠান আইটেক কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৩০০টি স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোর্স পরিচালনা করে থাকে। এ কোর্সগুলো সম্পূর্ণ ভারত সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। এই কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে, অন্যান্য দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের সুযোগ, পরামর্শমূলক সেবা এবং সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুযোগ প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভারতের দক্ষতা সম্পর্কে একটি দৃশ্যমান ও ক্রমবর্ধমান সচেতনতা রয়েছে এখন । প্রতি বছর হিসাব, স্বাস্থ্য, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের জন্য সহযোগী দেশগুলোতে ১০,০০০ এর বেশি প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়। দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি আইটেক কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।

৪. আইটেকের আওতায় নিয়মিত কোর্সের বাইরেও সহযোগী দেশসমূহের অনুরোধে বিশেষ কোর্স ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিশেষ কোর্সের আয়োজন করছে, যেমন- নির্বাচন ব্যবস্থাপনা (আইআইডিইএম), নয়া দিল্লি, রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা (মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের সঙ্গে), সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি মধ্যবর্তী প্রশিক্ষণ (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডমিনিস্ট্রেটিভ রিসার্চ/ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্নেন্স এনআইএআর/এনসিজিজি), সংসদীয় অধ্যয়ন (ব্যুরো অফ পার্লামেন্টারি স্টাডিজ), গ্রামীণ অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা (হিউম্যান সেটেলমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট), ফ্র্যাগরেন্স এন্ড ফ্লেভার স্টাডিজ (ফ্র্যাগরেন্স এন্ড ফ্লেভার ডেভলপমেন্ট সেন্টার-এ), ডব্লিউটিও সম্পর্কিত বিষয় (সেন্টার ফর ডব্লিউটিও স্টাডিজ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড), বিচারিক কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ কোর্স ইত্যাদি। আইটেকের আওতায় তিলোনিয়ার বেয়ারফুট কলেজে স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে অর্ধ-শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বয়োবৃদ্ধাদের জন্য সৌর প্রযুক্তির উপর একটি কোর্সসহ আরও কিছু সৃজনশীল কোর্সের আয়োজন করে থাকে।

৫. বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট অনুরোধের ভিত্তিতে শিক্ষকদের জন্য 'আইটি, ওয়েব ডিজাইনিং, ইংলিশ কমিউনিকেটিভ স্কিলস এন্ড পেডাগগি' বিষয়ে বিশেষ কোর্সের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। চেন্নাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ (এনআইটিটিটিআর)-এ বিশেষায়িত কোর্সের দুইটি ব্যাচ অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে বিদ্যালয়, মানবিক ও বিজ্ঞান কলেজ, পলিটেকনিক, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রায় ৮০জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নয়া দিল্লিতে সেন্টার ফর ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট ও ট্রেনিং-এর শুরু করেছি। চলতি অর্থবছরে নতুন ব্যাচগুলোতে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়।

৬. ভারতের আরেকটি সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি হল কলম্বো পরিকল্পনার কারিগরি সহায়তা স্কিম (টিসিএস), যা ১৯৫০ সালে কলম্বো পরিকল্পনাভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোতে কারিগরি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। কলম্বো পরিকল্পনাভুক্ত সদস্য দেশ থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের প্রশাসনিক ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে এই স্কিমের মাধ্যমে ভারতে সামগ্রিক ও সমন্বিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ভারত প্রতি বছর সদস্য দেশ সমূহে ৫০০ পর্ব কোর্স প্রদান করে থাকে যার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ৩৫টি পর্ব বন্টন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, কম্পিউটার শিক্ষা, সংসদীয় বিষয়, গ্রামীণ উন্নয়ন, বস্ত্র, পানি সম্পদ, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যা, অর্থ ব্যবস্থাপনা, বীমা ইত্যাদি। ভারত কলম্বো পরিকল্পনার টিসিএস এর আওতায় ভুটানে কিছু সংখ্যক প্রভাষক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

৭. মিড ক্যারিয়ার ট্রেনিং প্রোগ্রাম (এমসিটিপি)-এর আওতায় প্রশাসন খাতে বাংলাদেশী সরকারি কর্মকর্তাদের তিন বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণের জন্য ১৫০০ আসন রয়েছে। এই কোর্সটি পরিচালনার জন্য মুসৌরির ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্নেন্স (এলবিএসএনএএ)-কে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়। শাসন, পূর্ণমান ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক নীতিমালা, জাতীয় ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি এবং অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ক ধারণা, সামাজিক খাত ব্যবস্থাপনা, এমএনআরইজিএ, এনআরএলএম, পল্লী স্বাস্থ্য বিষয়ে সেরা অনুশীলন, সরকারি সরবরাহ পদ্ধতি ও ক্রয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সরাসরি মুনাফা হস্তান্তর/আধার, ই-প্রশাসন এবং সেবা সরবরাহ, ই-দপ্তর, ভারতে বিকেন্দ্রীকরণ, কম্যুনিটির অংশগ্রহণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নগর উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় এই প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত।

৮. এ পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায়, মুসৌরির ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্নেন্স-এ ৪৩টি ব্যাচে ১৪০৭ জন বাংলাদেশী সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে (২৭২ জন ২০১৭-১৮ সালে)। এই একই প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত ৬৪ জেলার ১১০ জন ডেপুটি কমিশনার বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জন ২০১৭-১৮ অর্থবছরেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও ১৫৬ জন বিচারিক কর্মকর্তাকে ২০১৭-১৮ সালে ৪টি ব্যাচে ভোপাল এর ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইটেক স্কিমের অধীনে ২০০৭-০৮ সালে এর সূচনা থেকে ১৩৭৭ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, যার মধ্যে চলতি অর্থবছরেই (২০১৭-১৮) ছিল ১৬৫ জন। ২০০৭-০৮ সালে এর সূচনা থেকে টিসিএস কলম্বো পরিকল্পনার আওতায় ২৭৯ টি প্রশিক্ষণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে ২০১৭-১৮ সালে ১৫টি পর্ব বরাদ্দ করা হয়েছে।

৯. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৫০ সালে ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর) প্রতিষ্ঠা করেন। আইসিসিআর ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা এবং অন্যান্য মানুষের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উন্নয়নে ভারতের বৈদেশিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কের সাথে সম্পৃক্ত নীতিমালাসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করে থাকে। এর প্রেক্ষিতে, আইসিসিআর ভারতে অধ্যয়নের জন্য বিদেশী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু করেছে। ভারত সরকার আইসিসিআর এর মা্ধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৩৫টি দেশের শিক্ষার্থীদের বছরে ২৪টি শিক্ষাবৃত্তি স্কিম প্রদান করে। আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্তদের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি, শিলং এবং দেশের সকল এনআইটিসহ ভারতজুড়ে ১৪০টিরও বেশি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়।

১০. ২০১০ সালে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর এবং পরবর্তীতে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর ঢাকা সফরের পর আইসিসিআর বৃত্তির সংখ্যা ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ থেকে ২০০-এর বেশি হয়েছে। এসব শিক্ষাবৃত্তি বাংলাদেশীদের পশ্চিমবঙ্গ, নয়া দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, পুনা এবং চেন্নাইসহ ভারতের সকল প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিচ্ছে। আইসিসিআর শিক্ষাবৃত্তির আওতায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ে প্রকৌশল, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, মানবিক, চারুকলা, ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সকল স্তরের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ এই সম্মানজনক আইসিসিআর শিক্ষাবৃত্তি থেকে উপকৃত হয়েছেন।

১১. অধ্যয়ন শেষে ভারত থেকে ফেরার পর আইসিসিআর শিক্ষার্থীরা ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি চিরায়ত বন্ধন লালন করেছেন। সম্প্রতি আইসিসিআর শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ‘অ্যাডমিশন টু অ্যালামনাই’ বা ‘এ২এ পোর্টাল’ নামে একটি অনন্য পোর্টাল তৈরি করেছে। বলাবাহুল্য, তাঁরা সকলেই সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আইসিসিআর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন স্তর থেকে আসা বিপুলসংখ্যক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাদী মোহাম্মদ, সুজিত মোস্তফা, লীনা তাপসী, দেবলীনা সুর, আজিজুর রহমান তুহিন; নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, মুনমুন আহমেদ, তামান্না রহমান, তাবাসসুম আহমেদ, ওয়ার্দা রিহাব, শর্মীলা ব্যানার্জী, পূজা সেনগুপ্ত, অর্থী আহমেদ, ওয়াফি রহমান অনন্যা ও র‌্যাচেল অ্যাগনেস পেরিস; চিত্রশিল্পী হামিদুজ্জামান খান, অধ্যাপক নিসার হোসেন, রণজিৎ দাস, আব্দুস শাকুর শাহ, ফরিদা জামান, শিশির ভট্টাচার্য্য এবং প্রয়াত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রাজীব হুমায়ুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক ডালিম চন্দ্র বর্মণ, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এঁরা সকলেই আইসিসিআর শিক্ষার্থী এবং এই তালিকা আসলে অনি:শেষ। বাংলাদেশে আইসিসিআর এবং আইটেক-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন রয়েছে এবং আমরা আনন্দিত যে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আজ আমাদের সাথে আছেন।

ভারতে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংগঠন- এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশী স্টুডেন্টস স্টাডিড ইন ইন্ডিয়া (এবিএসসিআই্আই) ভারতে অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতিষ্ঠান – দ্য ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি)-এর একটি আইটেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী সংগঠন রয়েছে। ভারতে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আরেকটি সংগঠন মৈত্রী গত বছর যাত্রা শুরু করেছে। আমরা এসব উদ্যোগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং আমাদের দুই মহান দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক আস্থার বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমরা তাদের উৎসাহিত করি।

পরিশেষে, আজকে আমাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে চাই। সুনির্দিষ্টভাবে আমি আজকের প্রধান অতিথি, ভারতের একজন মহান বন্ধু, মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জনাব মো. নাসিমকে তাঁর ব্যস্ততার মধ্যেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনাদের সবার জন্য একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা কামনা করছি। জয় হিন্দ ও জয় বাংলা।

****